এত আলো বড়ো অপ্রাসঙ্গিক। অন্ধকারেও থাকে স্বাধীনতার অন্য গল্প। ছড়িয়ে-ছড়িয়ে ছাই ওড়াই প্রখর নেশায়। ভাসিয়ে আসি আমার নাভিকুণ্ড, যেখানে বাবা ভেসেছিল, ভাসার তুখোড় আলোড়ন নিয়ে। আলোড়ন অথচ কী চুপচাপ! শান্ত-গভীর প্রিয়র মুখ যেন অবিকল। শোভাযাত্রায় অস্ত্রপরাগ। সিজন ওয়ানে সে বারবার বলতো—আর দু'মিনিট; প্লিজ দুটো মিনিট...কয়েকডজন 'দু'মিনিট' বয়ে যায়, তবু দু'মিনিট আর আসে না! স্বপ্নের ভিতর-বাইরে এভাবেই ঠোঁটে আগুন জ্বালিয়ে সে আমার কাছে আসে; আমার মাথায় বুলিয়ে দেয় আকাঙ্ক্ষার পরম। খানিকক্ষণ চোখ বুজে চোখ খুললাম। কোত্থাও সে নেই। 'দু'মিনিট' একটা স্বপ্নভ্রম। একটা আনকনভেনশনাল রক্তচাপের সারেগামা। এত পেশিসর্বস্ব ঘ্যানঘ্যানানি ভাল্লাগে না। ভাল্লাগে না আমার ভস্মে আমারই লিবিডো মেটাতে। দু'মিনিট একটা কমার্শিয়াল ব্রেক। এপিসোড থেকে এপিসোড; হেঁটেই চলেছি, হেঁটেই চলেছি। সিভিলাইজড টোন সেরে নিচ্ছে যাবতীয় সংক্ষিপ্ত স্বর; চোখ গুছিয়ে নিচ্ছে পোড়া বালিয়াড়ি। ক্ষয় জমছে। আমি বারবার দৌড়ে পালাতে চাইছি; কিন্তু পারছি না কিছুতেই...কিছুতেই! একটা বিশ্বসঙ্গীত দিবসের ভিতর 'দু'মিনিট'। একটা চুলখোলা দাউদাউ দুপুরে আমার খিদে আমায় গিলে খায়; চিবিয়ে খায় ঠিক 'দু'মিনিট'-এর জন্য। আমি ঝড়ের সুরে গলা মেলাই। প্রতিহিংসার হাসিটুকুও গুছিয়ে রাখলাম। আমি ঢেউয়ের বুকের বোতাম সেলাই করি, আগুনের গোপনে একটা ঢোকগেলা কান্না ছিল। 'দু'মিনিট' একটা ভুলের গাঢ়-বিষাদ।
রক্তের চাপ বাড়লে চোখেরা বিদ্রোহ করে। নার্সিসিজমের একটা পাগল-পাগল গন্ধ থাকে; একটা নিজস্ব ব্যালকনি থাকে; এক্স-ওয়াইয়ের এক্কাদোক্কা থাকে। একটা সিম্ফোনি থাকে। ভায়াগ্রা থাকে। নায়াগ্রার কথা মনে পড়ে খুব। জবজবে ভিজে আমি বৃষ্টির জলে গোপনে গোপন করি যাবতীয় গোপন। চোখ দুটি একদল মেঘ নিয়ে আকাশ হয়ে ওঠে। বাবাকে মনে পড়ে। আজও 'দু'মিনিট'-এর জন্য স্বপ্নের ভিতর সাঁতার কাটি; ঘরময় পরিচিত ধোঁয়ার গন্ধ...একটা মোশনের ভিতর অপরিচিত সেলফ-অবসেসড চিত্রনাট্য।
সিজন ওয়ান কমপ্লিট। সিজন টু শুরু হবার আগে একবার ওয়াশরুম থেকে ঘুরে আসছি...
আলোগুলো নিভিয়ে দাও। এত আলো বড্ড অপ্রাসঙ্গিক।
নিভিয়ে দাও...
Comments
Post a Comment