নীহার জয়ধর


পায়ের মাঝে 'গোলোক', বুকের তাপে অপেক্ষা ফুটে শাবক। সঙ্গী ঠোঁটে করে নিয়ে আসতো প্রেম বা দয়া। গলা চিরে শিশুকে প্রসাদ। কুমেরীয় পাক্ষিক আলোতেই লেখা হতো সহজ আত্ম-ধ্রুবায়ন। 

তপ্ত হলে মহাদেশ, মানুষের আরাম, খিদেকে জড়িয়ে নিয়ে অর্জিত স্থূলত্বে, অম্লবান হয়ে ওঠে। উষ্ণতার জন‍্য তখন তারা ভারতের গরুকে দোষারোপ করে। উষ্ণতার আকুতি, একহাতে খায় রঙিন বরফকুচি, আর হাতে স্বঘোষিত গ্রেটা থুনবার্গ। বাড়িতে আলো-বাতাসের প্র‍্যাকটিস করে হোমিওপ‍্যাথির শিশির নিয়মে। দরজা-জানালায় আঁটা অচিনপাখির শহুরে উচ্চারণবিকৃতি। 

আমরা আঙুলে খেলাই স্টালিন-অ্যাডল্ফ। প্লেটোর দাঁতের ফাঁকে গুঁজে দিই কিছুটা ফ্রয়েড। ঘিলু বেটে নাভি ও যৌনাঙ্গে পথ‍্য করে, সব মাছ ধরে ফেলি নিরঙ্কুশ অশিক্ষিত ভোটে। যদি কোনও বেগড় ঢেউ আসে, পরীক্ষামূলক ওপেন-হাই-মারে ভারি করে দিই পূর্ব সমুদ্রের জল।

এবার সম্মেলন হবে জেনিভায়, হলিউড-বলিউড, অথবা সিলিকা ভ‍্যালি, ক‍্যারিবিয়ান সৈকতে ঝুঁকে; তুলে নেবে মৃত বরফের পাখি। খোপ সাজানো হবে মানুষের। 

...পেঙ্গুইন, অলিভ রিডল, ডলফিন দেহ। অপেক্ষা করতেই হবে, বুমেরাং ছুঁড়ে তাবুতে ঘুমিয়ে থাকলে, আরাম বে-দম। মানুষের পৃথিবী একলষেঁড়ে। মানবিক অভিযোজনে মৃত‍্যু ভেসে আসে…

Comments