৪০
অবাধ্য সূচনার দিকে মুহুর্মুহু বশীকরণ গোগ্রাসে গিলছে শূন্য। মৃত্যুর পর যে-আঁধার বর্ণনাতীত, জানা নেই কোথায় ফুরুৎ, আসলে মুক্তির উল্লাসে প্রাণ দৈবপথ এঁকে রেখে গেল
সীমাকে দেখলুম সেদিন, কথা হলো কিছু। বললে— অতীত ফেরাতে পারবে না। বুদবুদ জলজ মেয়ের অভিসার, বন্যায় ভেসে গ্যাছে
কুশীলব যাঁরা আমাকেই বিঁধলো : কিছুকাল বয়ে বেড়াতে হবে এ-দিব্যি কে দিল? তারপর দেহ ছাড়াছাড়ি, তারও পরে বুনো পাখি অরণ্যে
শুয়ে-শুয়ে নক্ষত্র-পতঙ্গ ধরি
৪১
তবুও শিবির, ভাগ হয়ে আছে। আঁধারের সেইসব তট পৃথিবীচ্যুত কেন? নিষিদ্ধ গুহায় বিষহীন কামসূত্র আমারই ভ্রমণকথা, ব্রহ্ম-সমাজ নক্ষত্রখচিত গ্রহ-বিগ্রহে। একাকী প্রলাপ ভাঙে, একাকিত্বও। এখন স্মরণে আসে নতুন মৃত্যুরূপ। প্রাণীদের দেওয়া-নেওয়ায় মৌনমুখরতা সহজ ছিল
এ-ভাষ্য কি তবে প্রতিরোজ তারই কাছাকাছি ঘোরে? প্রসঙ্গ ছাপিয়ে কণ্ঠ হারালেন যিনি, বৈরাগী ধারা। মহান শূন্যে কতকিছু ভাসে : আহুতি, অধ্যাত্মপ্রবাদ, পঞ্চকোষ — আরও কত অচেনা ধ্বনি
জনদেব দেখা করে গেলে কিঞ্চিৎ সুষমা তার, অরূপের ভার নিয়ে কোনো কথা হবে না
৪২
অসম্পূর্ণ বাঁকের প্রতি একনিষ্ঠ চেয়ে আছে বিস্তর তফাৎ। স্মৃতির আড়ালে গ্রহ-বিপর্যয় এমন একটি সংক্রমণ, ফাঁক ক্রমপ্রসারিত হলেও কুলুপ এঁটে অনন্ত। পৃথিবীর সব আলো দেখানো কি সম্ভব? অনস্তিত্বের কথা উঠতে সভার আয়োজন হলো
চোখে পড়ার মতো শোক, যার চলচ্চিত্রের জলছবি নিয়তির পরাকাষ্ঠা। শোধন দিচ্ছি যখন, তারাচূর্ণ পারদের মতো আকাশ মাতিয়ে রেখেছে। এভাবে সমগ্র বলতে যা বোঝায়—
মহা-মিলনের যথার্থ ফসল অন্ধকারে হারিয়ে গেলে অনুপুঙ্খে সরষের খেত। ছায়া পথভ্রষ্ট। এবং ভুলে গেছে জন্মই হয়নি কখনও
Comments
Post a Comment