কাকলি দাস

রক্ত আগুন

বিষাদ জমে তৈরি আগুন পাহাড়, হেঁটে যায়,
রেখে যায় পায়ের ছাপ, কাদার অন্তঃসলিলাতে
খুঁজে দেখো পাবে জীবাশ্ম, যুগান্তরে

ভাঙাবাড়ি পুরোনো নয়, ওটা মর্মরে ইতিহাস
হৃদপিণ্ডের থেকে চুঁয়ে পড়া জমাট রক্তগাথা
নিভে যাওয়া দুঃখের বাতাস

জাহ্ণবী জানে কোথায় সূর্যের অস্তমিতির রেখা আঁকা থাকে
মাধবীলতা শুধু জানে সংজ্ঞা প্রেমের,
দিগন্তকে জানা অতটাও সহজ নয়


আগুনপাখি

কত স্মৃতি ছড়িয়ে 
হেথা হোথা পড়ে
আমার
কতটা পারবে তুলে নিতে আমাকে? 
যদি-বা তুলে নাও চেঁচেপুছে
আঙুলের ফাঁক দিয়ে 
আমি গলে যাবো ঠিক
আমাকে ধরে রাখা সহজ নয়
ঠিক যতটা চেনোনি আমার উষ্ণতর জানলা
ততটাই অপরিচিতা, বোগেনভেলিয়া 
কাটাকুটি খেলে রাত বেড়ে যায়
চিতার আগুন ছড়িয়ে দিগন্তজুড়ে


মেঘ-বৃষ্টি-ঝড়

অনেকটা উঁচুতে হাওয়ার সাথে
উড়িয়ে নিয়ে গেছে দেশান্তরে
দু'চোখে রঙিন স্বপ্ন এঁকে
সাদা জানালার চৌকাঠে
দাঁড়িয়ে একরাশ উজ্জ্বল মেঘ
আকাশ কখন নামবে নিচে, কেউ জানে না
মেঘ হবে, নাকি বৃষ্টি ঝরবে
কেউ জানে না
উঠোনের কাপড়গুলো দেখো
ঝড়ে উড়ে যাবে
বৃষ্টিতে ভিজে যাবে
মেঘে ছাই হবে একলহমাতে

Comments