নিতাই ভট্টাচার্য

"ছেলেরা, এইবার ভগীরথচন্দ্রবাবু কিছু বলবেন।" মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন হেডমাস্টারমশাই রমেনবাবু।মঞ্চের একেবারে পিছনের দিকে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্কুলের সব মাস্টারমশাই। তাঁদের মধ্যে থেকে কে যেন ফিসফিস করে বলে উঠলো, "কী প্রয়োজন ছিল ভগীরথবাবুকে বক্তব্য রাখতে বলবার! এমন দিনে থমকে দাঁড়িয়ে গেলে কী বিপদ হবে!"

মঞ্চের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ছাত্রদল। ভগীরথবাবু বক্তব্য রাখবেন, তাই তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে মৃদু গুঞ্জন। এইবার মুখের কথা আটকে মাইক্রোফোন ধরে দাঁড়িয়ে থাকবেন ভগীরথবাবু। গতবছর অ্যান্যুয়াল স্পোর্টসের আগের দিন এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা। সেদিন ভগীরথবাবুকে খেলাধুলার গুরুত্ব বিষয়ে দু-চারকথা বলতে অনুরোধ করেছিলেন হেডমাস্টারমশাই রমেনবাবু। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কী বিপত্তি! নির্বাক হয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভগীরথবাবু। ছাত্রদের মধ্যে তুমুল হাসাহাসি শুরু হয়েছিল। বেশ কয়জন শিক্ষকও মজা পেয়েছিলেন সেদিন। আড়ালে দাঁড়িয়ে হেসেছিলেন তাঁরা। আজ আবার তেমনই দৃশ্যের রিপিট টেলিকাস্ট হতে চলেছে; কয়েক সেকেন্ডের অপেক্ষা মাত্র। মাইক্রোফোনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ভগীরথবাবু। নিজের অনিচ্ছায় নিজেকে টেনে নিয়ে চলেছেন যেন।অরূপবাবু কিছুটা বলতে চেয়ে দ্রুত এগিয়ে আসেন ভগীরথবাবুর কাছে। বাকিরা অপেক্ষায় রয়েছেন, এইবার  কী কাণ্ড বাঁধে কে জানে!
আসলে পাঁচজনের সামনে বক্তব্য রাখতে গেলে থমকে দাঁড়ান ভগীরথবাবু। এই সমস্যা তাঁর আজকের নয়, শিক্ষকতা-জীবনের প্রথমদিন থেকেই রয়েছে। পরিবেশ ভারী হলেই টেনশনে জিভের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে এক্কেবারে ফিক্সড হয়ে যায়। ভারী পাথর যেন! তারপর শুরু হয় বুকের ভিতর ধুকপুকুনি। বলতে চাওয়া কথাগুলি গলায় এসে থমকে দাঁড়ায়। মুখ ফ্যাকাশে হয়ে আসে। ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। তখন টোটাল সিস্টেম হ্যাং। দেখলে মনে হয়, কোনো নাটকের ফ্রিজশট। ইদানিং সহকর্মীরা এই সমস্যাকে বলে "চন্দ্র সমস্যা"। তার কারণ আছে।

বছর দুয়েক আগের কথা। রমেনবাবু তখন সদ্য হেডমাস্টার হয়ে এসেছেন এই স্কুলে। বেশিরভাগ টিচারই তাঁর অচেনা, ভগীরথবাবুও। সেদিন মাস পয়লা। মাস্টারমশাইদের নাম অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারের নতুন পাতায় নতুন করে লেখা হয়েছে। স্কুলে এসে অ্যাটেনডেন্স দিতে গিয়ে ভগীরথবাবুর আক্কেল গুড়ুম! দেখেন ভগীরথ আর মিশ্র প্রায় গায়ে-গায়ে বসেছে। চন্দ্র ভ্যানিশ!নিজের নামের মধ্যপদের এহেন অবলুপ্তিতে রাগে ফেটে পড়েন ভগীরথবাবু। তাঁর বংশ ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রের এমন পূর্ণগ্রহণ দেখে ভীষণ অপমানিত তিনি। আত্মমর্যাদায় আঘাত। মনে গনগনে আগুন জ্বলে ওঠে। রমেনবাবুর উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি আগুনে কথা বলতে গিয়ে শুধুমাত্র "আমার চন্দ্র কো..." বলেই থমকে দাঁড়িয়ে  যান। ততক্ষণে মনে উত্তেজনার বান আছড়ে পড়েছে। জিভ অচল। মুখ ফ্যাকাশে। এক্কেবারে ফ্রিজশট!রমেনবাবু ঘাবড়ে গেছেন। ভগীরথবাবুর এমন অবস্থার কথা তাঁর অজানা তখন। ভেবেছেন আচমকা উত্তেজনায় হৃদয়ঘটিত কোনো পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ভগীরথবাবু। উপস্থিত সকল মাস্টারমশাইয়ের অবস্থাও তাই। কাজেই এমন অদৃশ্যপূর্ব পরিস্থিতিতে ঠিক কী করণীয়, বুঝে উঠতে পারে না কেউ।স্কুলের পিওন হারুবাবু পুরোনো লোক। এমন দৃশ্য তাঁর পরিচিত। হারুবাবু ছুটে এসে বলেন, মাস্টারমশাইরা দয়া করে সড়ে দাঁড়ান। পরিবেশ হালকা করুন আগে।ধীরে-ধীরে অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন রমেনবাবু।
নিজের হাতে ভগীরথবাবুর বিলুপ্ত চন্দ্র ফিরিয়ে দেন রমেনবাবু। দুঃখপ্রকাশ করেন ভগীরথবাবুর কাছে। কাহিনি এখানেই শেষ হতে পারতো। হয়নি। সৌজন্যে ভগীরথচন্দ্র মিশ্র। আত্মমর্যাদায় আঘাত! একজন হেডমাস্টারমশাইয়ের এমন ভুল মানা যায় না! কেমন সব হেডমাস্টারমশাই শিক্ষকতা করে গেছেন এই স্কুলে! সেইসব কথা উল্লেখ করে সেক্রেটারি সাহেবকে একপাতা চিঠি লেখেন ভগীরথবাবু। সেটা নিয়ে জল অনেক দূর গড়ায়। রমেনবাবুর মাথা হেঁট হয়ে যায়।মাস্টারমশাইদের অনেকের কাছেই ভগীরথবাবুর চিঠি লেখার ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি বলে মনে হয়। সেটা অবশ্য ভগীরথবাবুও স্বীকার করেছিলেন কাছের মানুষদের কাছে। "রাগের তোড়ে অত...।" তবে ততদিনে দেরি হয়ে গেছে বেশ। মনের কথা গলায় আটকে মুখমণ্ডলে এক অদ্ভুত অভিব্যক্তির বর্ণ ছড়িয়ে এমন নির্মল হাস্যরসের আমদানি হতে পারে, এই বিষয়টা মাস্টারমশাইদের অজানা ছিল। সেই দুর্লভ বিষয়ের আবিষ্কারের পর ভগীরথবাবুকে নিয়ে হাসির রোল ওঠে স্টাফরুমে প্রায়ই। আবার কবে এমন স্থিরচিত্র অবস্থায় প্রবীণ মানুষটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাবে, সেইদিনের দিকে অনেকেই চেয়ে থাকেন। এতে ভগীরথবাবুর আত্মবিশ্বাস তলানি ছোঁয়। স্কুলে এসে ক্লাসরুম ছাড়া অন্য কোথাও মুখ খুলতে সাহস পান না আর।

রমেনবাবু সুখী হয়ে ছিলেন অন্য কারণে। পরিবেশ বুঝে "কিছু বলুন" বলে ভগীরথবাবুকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারলেই হলো, বাকিটা এমনি-এমনই হয়ে যাবে। তার অপমানের বদলা কষ্ট করে নিতে হয়নি আর।ব্যস, ভগীরথবাবুর "চন্দ্র সমস্যা" দেখতে চেয়ে অনেকরকম ফাঁদ বিছিয়ে দেয় সহকর্মীরা। সে-সমস্ত ফাঁদ নীরব থেকে এড়িয়ে যান ভগীরথবাবু। বেশির ভাগ সময় ভাইব্রেশন মোডে ঘাড় নেড়ে, কথা বলা থেকে বিরত রাখেন নিজেকে। তবে সবসময় তা শোভনীয় হয় না। তিনি স্কুলের বর্ষীয়ান শিক্ষক। জুনিয়র শিক্ষকদের সামনে গুছিয়ে কথা বলতে না-পারা ব্যাপারটা যথেষ্ট অসম্মানজনক। তাই সম্মান বজায় রাখতে গিয়ে সবার সামনে কখনো-সখনো দু-চারকথা বলতেই হয়। আর তখনই হাসির খোরাক হয়ে বসেন। সহকর্মীদের এমন আচরণ অনভিপ্রেত। স্টাফরুমে থাকতেই মন চায় না। উপায়ই বা কী আছে! বাধ্য হয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন।
অথচ শিক্ষকতা জীবনের শুরুতে এমন বাক-হিসেবি মানুষ ছিলেন না ভগীরথচন্দ্র। বরং বিপরীতটাই ছিল তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। সকলের সঙ্গে কথা বলতেন মন খুলে। স্টাফরুমে কোনো বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে থেকেছেন ঠিকই। তবে কথা বলবার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেননি কোনোদিন। সেদিনের সহকর্মীরা ভগীরথবাবুকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করেছে, সবই অবশ্য লঘু তালে। অপমানিত বোধ করেননি কখনও। উল্টে অনেকেই অনেকরকম  পরামর্শও দিয়েছেন ভগীরথবাবুকে। "এইভাবে কথা বলে দেখো ভগীরথ, যদি উপকার পাও।"  শুনেছেন ভগীরথবাবু, তবে লাভ বিশেষ হয়নি। শেষমেষ বিজয়বাবুর কথাই  মেনে নিয়েছিলেন ভগীরথবাবু।"এই সমস্যা নিয়ে অত ভেবো না ভগীরথ। কাজ কী তোমার মিটিং বা সভায় কথা বলার! সে-কাজ সবার নয়। ক্লাসে পড়াতে অসুবিধা নেই। মনের কথাও সবার সামনে দাঁড়িয়ে সবাইকে বলতে পারছো। তাহলে অত কথা বলতে চাইছো কেন? বেশি কথা, সে তো কাজের নয়। মনের কথা মন দিয়ে বলো, শুনবে সবাই।" বলেছিলেন বিজয়দা।তেমন মানুষ আর এখন কোথায়! ইদানিং বদলে গেছে সব। স্টাফরুমে কী সব আলোচনা চলে এখন! গঠনমূলক কথাবার্তা কানেই আসে না। সারাদিন রাজনীতি, পে-হাইক, ভোট, জোট। এর-ওর নামে কুৎসা। তারপর নিজের-নিজের রাজনৈতিক সংগঠনের কথা তো আছেই।এইসব দেখে ভীষণ ব্যথিত ভগীরথবাবু। ছাত্রদের কথা দু-একজন ছাড়া ভাবে কে! অথচ সেটা নিয়ে কাউকে কিছু বলবার উপায় নেই। মনোকষ্টের কথা মাঝেমধ্যে অরূপবাবুকে বলেন। "জানলে অরূপ, কী সব মাস্টারমশাই ছিলেন এই স্কুলে। ছেলেদের কথা ভেবে কত কাজ করতেন তাঁরা। কী পরিশ্রম করে পড়াতেন, ভাবতেই পারবে না। অবিনাশদা, গৈরিকবাবু, মুখার্জিদা...। আর, আর ছিলেন আমার বিজয়দা। বিজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্য। পণ্ডিত মানুষ। মুগ্ধ হয়ে শুনতে হতো তাঁর কথা। বিজয়দা যে কেমন মানুষ ছিলেন, তোমাকে বোঝাবো কীভাবে! যেমন ছেলেদের ভালোবাসতেন তেমনই অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল স্কুলের প্রতি। সহকর্মীদের অভিভাবক ছিলেন আমার বিজয়দা। সারাদিন কাজের মধ্যে ডুবে থাকতেন। পড়া, লেখা আর পড়ানো এই ছিল তাঁর জীবন। মাঝেমধ্যেই রামকৃষ্ণ মিশনে বক্তব্য রাখতে যেতেন। আহা কী ভালো মানুষ। আমাকে ভীষণ স্নেহ..." অরূপবাবু ভগীরথবাবুর ছেলের বয়সী। নতুন এসেছেন এই স্কুলে। গুরুত্ব দিয়েই শোনেন ভগীরথবাবুর কথা। বোঝেন মানুষটার যন্ত্রণা ঠিক কোথায়। চাকরিজীবনের সায়াহ্নে এসে ভগীরথবাবু পুরোনো দিনের কথা মনে করেই সুখী হন। মাঝেমধ্যেই অরূপবাবু বলেন, " সেদিন তো আর নেই স্যার। আপনি  চুপচাপ থাকবেন। অহেতুক পলকা আলোচনায় কান দিয়ে লাভ কী। আর কয়টা মাস আছেন, এইভাবেই কাটিয়ে দিন।" ঠিকই বলে অরূপ।"ছেলেরা তোমরা একটু শান্ত হয়ে দাঁড়াও। এইবার..."
মাইক্রোফোনের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন ভগীরথবাবু। মনে কত কথার আনাগোনা। কত সুখের ছবি ভেসে ভেসে এসে এই নিদারুণ যন্ত্রণার মুহূর্তে, দুলিয়ে দিয়ে যায় ভগীরথবাবুকে।আজ স্কুলে এসেই মর্মান্তিক খবরটা পেয়েছেন ভগীরথবাবু। তাঁর বিজয়দা আর নেই।অরূপবাবু এগিয়ে এসে বলেন, "স্যার সামান্য দুই-চারকথা বলুন। তাতেই চলবে।"ভগীরথবাবুর মনের যন্ত্রণার কথা বোঝেন অরূপবাবু। বিজয়বাবুর প্রতি ভগীরথবাবুর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা অকৃত্রিম, অপরিসীম। এমন মানুষের মৃত্যু অন্তহীন শোকের সাগরে নিমজ্জিত করেছে ভগীরথবাবুকে। তবুও কথা বলবার সমস্যাটা তো আছে। তাই প্রবীণ মানুষটিকে টেনশন মুক্ত রাখতে চেয়ে অরূপবাবু বলেন, "আপনার মনের কথা বলুন স্যার।"
দুইচোখের জল মুছে স্মৃতিচারণ করছেন ভগীরথবাবু। "ছেলেরা, যে-মানুষটি আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁকে তোমরা কেউ দেখোনি। আমি তাঁর সঙ্গে বহুবছর কাটিয়েছি। তিনি যে কেমন মানুষ ছিলেন..."সুন্দর-সাবলীলভাবে মনের কথা বেশ কিছুক্ষণ ধরে বলার পর থেমেছেন ভগীরথবাবু। না, মুখের কথা থমকে দাঁড়ায়নি আজ। একটা দামাল কান্না বুক ফুঁড়ে বাইরে এসে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে ভগীরথবাবুর মনের কথা। 
স্বজন হারানোর অসহনীয় বেদনায় বাকহীন হয়ে মঞ্চের একপাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভগীরথবাবু। এক্কেবারে স্থিরচিত্র যেন, অদৃশ্যপূর্ব।
নিস্তব্ধ সারা স্কুল। ভগীরথবাবুর স্মৃতিচারণায় বিজয়বাবু আজ মূর্তমান হয়ে ওঠেন সবার মনে। সহকর্মীদের মন ভরাক্রান্ত। আজ কথা নেই তাঁদের মুখে। কোলাহল নেই কোনো। শোকাচ্ছন্ন হয়ে বাড়ির পথে পা ফেলে ছাত্ররা।রমেনবাবু এগিয়ে আসেন মঞ্চের সামনে। ভগীরথবাবুর হাত ধরে বলেন, "আহা, কী সুন্দর বলেছেন! মনটা ভারী হয়ে উঠেছে স্যার আপনার কথা শুনে। চলুন আমার হাত ধরে চলুন আজ।" রমেনবাবুর সঙ্গে স্টাফরুমের দিকে এগিয়ে চলেছেন ভগীরথবাবু। স্কুলের সব শিক্ষক বিমর্ষতায় আচ্ছন্ন থেকে ভগীরথবাবুর পায়ে-পায়ে পা ফেলে এগিয়ে চলেছেন। এক অন্য ছবি অন্যরকমভাবে ফুটে উঠেছে স্কুলবাড়িতে, অদৃশ্যপূর্ব।
হঠাৎ করেই করিডোর থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসে। থমকে দাঁড়ায় সকলে। একপাশে দাঁড়িয়ে অঝোরে কেঁদে চলেছেন হারুবাবু। অতি-সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণা তাঁরও বুকে শোকের ঝড় তুলেছে আজ। প্রিয়জন হারানোর বেহাগ বড্ড করুণ হয়ে বেজে চলেছে হারুবাবুর মনে। বিজয়দার কথা মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভগীরথবাবুও। দুই প্রবীণ মানুষের হৃদয়ভাঙা কান্না ফাঁকা স্কুলবাড়িতে বেদনার করুণ হাহাকার তোলে আজ।








Comments