সুপর্ণা লিলিথ দাস

দেখনদারি শেষ হলে শূন্য পড়ে থাকে ঘর। 

তুলে ফেলা বেডশিট ও আধরঙে

বিছানাগুলোকে বিধবা দেখায়। 

সেকেন্ডের কাঁটার নৈমিত্তিক খেলাকে হাত দিয়ে আটকে রাখি। 

নিস্তব্ধ কিছু রাত্রি জালি দেওয়া ডাস্টবিনে রাংতা আর প্যাকেটের সাথে জড়াজড়ি করে। 

বিষুবরেখা বরাবর ঠিক তখনই হেঁটে যাওয়া গেলে তোমার বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছানো যেত, 

রঙ ও ইতিহাসের উপর খুব তীব্র ভর করে বেঁচে থাকা যেত মহাজাগতিককাল। 

যা হয়নি যা হতে পারতো তা ভাবতে-ভাবতে

চৌকোঠা অঙ্ক খাতায় চুপচাপ বসে থাকে রবীন্দ্রসঙ্গীত। 

জানি আজকাল ট্রানজিস্টার বলে কিছু হয় না—

ব্লুটুথ স্পিকারে শ্রাদ্ধবাসর রাত জাগে। 


দেখনদারি শেষ হলে আকাশ আনত হয়ে আসে

চুমুর মতো ঝুরো বৃষ্টি দেয় কিছু, 

তাতে অগ্নিকুণ্ড নেভে না 

তবে যাই হোক কিছু ধুলো তো মরে!

Comments