দেবযানী বন্যা

আয়োজন

যে-কোনো মৃত্যুর দিনে কেমন মেঘলা লাগে চারপাশ…

কথাটা বললো যে-কিশোর
তার কচিমুখে বৈশাখ-সকালের রোদ… 
পাশের বাড়িতে আজ চলে গেল একজন,
কাঙ্ক্ষিত অবসান...বড়ো কষ্টে ছিল প্রাণ তার
ধূপ আর রজনীগন্ধা নিতে পারি না এখন
মধ্যপথ পার করে...ভয়-ভয় লাগে।

সপ্তাহ পেরিয়ে যায়, কথা বলা হয় না আমাদের
না-বলা শব্দেরা আধিভৌতিক শূন্যে
ভেসে-ভেসে ধূপের মতো আবছা হয়ে যায়।


ক্যাবের জানলা দিয়ে থোকাভরা করবী দেখি..
মনে পড়ে শীতের প্রিন্সেপ ঘাট…হলুদ সালোয়ার
নদীর কিনারা দিয়ে বয়ে যাওয়া কথা—
কমলাকোয়ার মতো বিকেলের আলো এসে
যে-মুখে পড়েছে তাতে তেল নুন ঘামে ভেজা ক্ষয়
তবু মায়া...অস্তগামী চশমার কাঁচে পরস্পর। 

এইমাত্র শববাহী গাড়ি গলি থেকে বেরিয়ে গেল
শুনেছি, এপাড়ার প্রথম অতি-আধুনিকা
ষাট পেরোবার আগে বিছানায় স্নায়ুর অসুখে...

বড়ো বেশি নীরব ওবাড়ি... ভিড় নেই...হাহাকার নেই
উদাসী হাওয়ায় ধূপের গন্ধ উড়ে যায়,

অথচ আজই ঠোঁটে কাঠিকুটো নিয়ে ফিরে এসেছে ওরা
দু'দিন আগেই বাসা উড়ে গেছে ঝড়ে
একফালি বারান্দার শেডে কুটো মুখে ওড়াউড়ি,
ব্যস্ততা, নতুন বাসার তোড়জোড়…

Comments