নিমাই জানা


পৃথিবীতে মৃত মানুষের অর্গাজম দৃশ্য নেই বলে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আমি অদ্ভুত সীসার তরল ইয়ং গুণাঙ্ক ঢেলে নিচ্ছি সদ্য ফর্সেপ দিয়ে তুলে আনা দর্শনেন্দ্রিয়ের ভেতর, আমি মৃত্যুকেই ডাকি সারারাত উনুনের পাশে যাই কালো কয়লায় মুখগুলো ধুয়ে দিতে দিতে এ-জন্মের বৈদ্যুতিক হিটার থেকে নিয়ে আসে আমার রক্ত স্নাতক পেরিফেরাল থার্মোমিটার। সূক্ষ্ম ছিদ্রগুলো দিয়ে দেখি সলিল সমাধিতে ডুবে যাওয়া নাক্ষত্রিক সামুদ্রিক পাখিদের তাদের গায়ে আঁশ ছিল। নোঙরের ভাঙা টুকরো লেগেছিল পোশাকের গায়ে যমজ দৃশ্য ছিল।

পিতাকে তরল পদার্থ ভেবে-ভেবে ডাকি জলগ্রহণের পর, আকাশে উড়িয়ে দিই নাবিকবৃন্দের প্রত্নতাত্ত্বিক এক-একটা ক্ষতমুখ। তৃতীয়বার স্বর্গদেশে যাওয়ার পর লালরঙের অ্যালফাবেটিক খেজুরগাছগুলোতে নশ্বর প্রেত নেমে আসে অ্যাবাকাস ঠোঁটের লবণাক্ত দ্রোহকাল নিয়ে। 
মৃত্যুকেই সারারাত পুষতে থাকি বলে কেউ-কেউ শ্মশান থেকে ফিরে আসলেও আর মানুষের মতো দুইহাতে ফিরে আসে না।
বৃহৎ যানবাহনগুলো পাথরের মতো কাঁপতে-কাঁপতে এক-একটা মাছের খাবারের দোকানে ঢুকে যাচ্ছে দুটো হাড়গোড়া কেনার জন্য।
আমি জঙ্ঘাতন্ত্রের হিমালয় ও অদৃশ্যত প্রদেশে গিয়ে দেখেছি সেখানে কালো-কালো মানুষেরা সরু গলা দিয়ে বিরিয়ানি মেশানো মদের অনাক্রমতা ঢেলে দেয় খুন হয়ে যায় পাপের মতো। অনুস্বর আগুনের খনি ধারালো অস্ত্র নশ্বর তলপেট ভূমিকম্প আর জঙ্ঘাতন্ত্রের এক-একটা ষোড়শী পোকা। এখানে শক্ত পাথরের মতো নীলাভ তুলোর চাষ করতে-করতেই একপ্রস্থ ঘাতকগুলোই গোপনে জবানবন্দী দেওয়ার জন্য চলে আসে আমাদের নিস্তব্ধ ঘরে। সকলেই নিজেদের কাটা জিভগুলো কেটে ঝুলিয়ে রাখে পেরেকের মাথায়। পোশাক থাকে না বলে এক সমাকলন দৃশ্যের উইপোকা চলতে-চলতেই কালো আরশোলার প্রায় মৃত ডানাগুলো আমাদের নিয়ে যাবে অশীতিপর অলংকারপুরে। কতবার স্বকীয় ঋষি নীলকান্ত পাহাড়ে ঢুকে সরীসৃপ-ধ্যানে পৃথিবীর অভিশাপচক্রগুলো খেয়ে ফেলছেন রক্ততঞ্চনের বিষ দাঁত দিয়ে।

Comments