১.
বুকভরা ধুলো নিয়ে
চৈতি বাতাস ওড়ে
নদীতে জল নেই, নৌকা ভাসে না
পার-মুখো পদচিহ্ন ছুঁয়ে ক্ষীণ জলধারা
নদী যেন কথা বলে, মাটির সাথে
গোধূলি পরখ করে কেউ
মেঘের আভাস পেলে নৌকা ভাসিয়ে দেবে
ওই বুঝি জলে ওঠে ঢেউ।
২.
একরাশ পুজোর সামগ্রী
আলতা, গামছা, শাড়ি
ধূপ-ধুনো সিন্দুর, ফুল-মালা, ঘুনসি
অপার বিস্ময় জাগে ভক্তের চোখে
নীরবে শুধুই ভাবে
সকল দুঃখের মাঝে কত আলো তুমি!
৩.
সূর্যদেব পাটে বসেছেন, পশ্চিম আকাশে
কমলা রঙের রোদ্দুরে রোগাটে গাছের ছায়া
ঢ্যাঙা হতে-হতে শুয়ে পড়েছে পথের ওপরে
প্যাঁচা ঠায় বসে, কিছুটা সময় পরে
ঘনাবে আঁধার একরাশ
আসন্ন শিকারের জন্য
এই আশা বারোমাস।
৪.
এ তো নয় অন্তিম বিদায়
ফিরে এসো, পুনরায়—তুমি এলে
আমাদের দেখা হবে—আবার কখনও
জানি, অন্য কোনোখানে
এ-চাওয়ায় নেই কোনো অন্যায়, অপেক্ষা থাকে।
৫.
এইখানে কিছু রেখে যাবো
অকারণ ভালোবেসে, অনিবার্য নীরবতাতে
এমন কিছু দুঃখ থাকে অনিচ্ছার ভাঙনে
যেখানে আঁধার নামে সময়ের আগে
ভুলে থাকা আফসোস, ভুলে যাওয়া ক্ষোভ
আমার গড়ার কাজ মিটেছে দিনে-দিনে
ফসলের মাঠখানি তোমার হোক।
Comments
Post a Comment