মনোজ অধিকারী


প্রহর

কুকুরের মুখগুলো আজ মানুষের মতো লাগছে

মা ও সন্তানের জন্য কিনে আনি কমদামি বিস্কুট

এখন আমাদের বড়ো হওয়ার সম্ভাবনা খুব কমে গেছে

মানুষের বাচ্চা হলে ঠিক ছিল, সে যে কুকুর


আমরা আদিম সভ্যতার শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছি

এরপর কোনো শুভ লগ্ন হয়তো আসবে না জীবনে

তবুও চেষ্টা করি প্রতিদিন কুকুরের মুখগুলো

নিজের মতো করে বেঁচে থাকার প্রতিটি শব্দে ঘেউ  

 

এখন কুকুরগুলো মানুষের মতো কথা বলছে

পাহারা দিয়ে চলেছে দিনরাত এর বাড়ি ওর বাড়ি

আমি আমার সন্তানের জন্য কিছুই করতে পারিনি

ওদের মা খাবার নিয়ে আসে মুখে করে 

পরে উগলে দেয় বমির মতন।

 

এখন বিকেলবেলা কুকুর পাহারা দিচ্ছি আমি

ওরা আমাকে দেবে রাতের বেলা সমস্ত পৃথিবী।



ছিঁড়ে ফেলার আগে কয়েকটি

বিরক্তিকর জীবন, আমি ছায়া দিয়ে ঘিরে রাখি

আমার প্রেম তোমার কাছে বদমাইশি

সাদা পাতায় দুঃস্বপ্নের রঙ লিখে রাখি

যাতে পড়ে থেকে-থেকে নষ্ট না-হয়ে যায়

যেমন

তোমার বিয়েতে

আমার বরযাত্রী যাওয়া হয়নি।

তুমি ও তোমার পিসতুতো বোন

আজ অবধি নিজেকে যতটুকু ভুল বুঝলাম

যেটুকু নিজেকে নিয়ে এতদিন রোদ পোহালাম

আমাদের বিবাহ হলে সন্তানের নাম কী রাখতাম?


আমার সন্তান যেন থাকে নুনেভাতে

চলো তার চেয়ে বরং ডালে-চালে মিশে থাকি

কেউ কারও দোষ দিতে পারবো না

কার চেয়ে কে বেশি দামি

 

চকচকে থালায় রান্না করা ভাত আমরা

পরের ঘরে থাকি। উঠতে বসতে খোঁটা খাই।

 

একে অপরের হাত ধুয়ে দিই। দিনের খাবার

বেঁধে নিয়ে যাই...

Comments