সুশান্ত সেন

ধৈর্য

কী ধৈর্য রে বাবা!
এক বুড়ো 
পাঁচকাল গিয়ে ছয়কালে ঠেকেছে 
লিফটের বোতাম না-টিপে 
আঙুল ঠেকিয়ে সঙ হয়ে দাঁড়িয়ে, 
আর তার ছবি
এক চিত্রগ্রাহক পরের পর তুলছেন।

আবার দেখি বুড়ো একটু পরেই
একপা বাড়িয়ে 
হাত দুলিয়ে স্থির, পোজ দিচ্ছেন।

পটাপট ছবি উঠছে 
আমেরিকার এক হাসপাতালে। 
হয়তো ছাপা হবে কোনো প্রচারে বা বুলেটিন-বদান্যতায়।

হাসপাতাল, বুড়ো, ক্যামেরা, আলো, প্রক্ষেপণ, ছাতা
এইরকম উল্টোপাল্টা বিকেলের আলোয় স্থির।

বসে আছি হাসপাতালের বিরামকক্ষে।


চড়ুইভাতি 

ভাঙা দেউল চড়ুইভাতি 
শ্রান্ত নদী তীর বইছে
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে শতরঞ্চি
মাটির উনুন উঠছে ধোঁয়া 
সাতটা বোতল মাপ জানে না
ঢুকুরঢুকুর কেউ চামচে 
একচামচে দু-চামচে
গুলিয়ে গেল হাতের ছোঁয়া 
ফিরতি বাসে বকরবকর
বন্ধু তোকে চিনিই না আর
কোথায় যেন নামতে হবে
ঝঙ্কুমাসি মাজছে বাসন
কেউ জানে না, কেউ জানে না।

চড়ুইভাতি বন্ধ হলো
পুকুর একা খেল বোতল
সাতটা বোতল সাতটা বোতল।





Comments