অপেক্ষা
একটা ছবি বাঁধাতে দিয়েছিলাম, আনতে গেলাম দুপুর বারোটায়, দোকান বন্ধ, পাশের দোকানদার বললো অপেক্ষা করুন দশ মিনিট, এখুনি দোকান খুলবে।
রেশনের দোকানে গিয়েছিলাম বুধবার, বাইরে লেখা বিশেষ কারণে আজ বন্ধ , বৃহস্পতিবার দোকান খুলবে।
ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম, শুনলাম তিন নম্বর কাউন্টারে দাঁড়াতে হবে, আর কিছুক্ষণ পরেই লোক আসছে।
এইরকমভাবে অপেক্ষা করে আছি সারাজীবন আর শুনছি—যা-যা করবার সব করা হচ্ছে, একটু অপেক্ষা করুন, সুদিন এল বলে।
তাই আশাতে-আশাতে আলোর স্বপ্ন দেখতে-দেখতে একটা গোটা জীবন প্রায় কাটিয়ে ফেললাম, আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কে জানে!
কথা
কথা ছিল একবার তুলি নিয়ে রাঙিয়ে দিলেই
সারাদিন সূর্য জ্বলতে থাকবে, একটুও ম্লান হবে না।
কথা ছিল স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি ওদের নামে লিখে দিলে
আর ওরা সলতে পাকাবে না।
যা-যা করার নির্দেশ এল, সব করলাম।
এতকিছু করার পর
বিকেলের শালিক
আকাশের রঙ চিনতে পারলো না।
কারণ অনুসন্ধানে রত হলো দ্বিতীয় শালিক।
Comments
Post a Comment