দরজায় খিল আঁটা, দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে
অপেক্ষারত মৃত্যুর ফেরেস্তা বার্তা নিয়ে।
সঙ্গে নিয়ে যেতে নয়, আগাম আমন্ত্রণ
মৃত্যুর। অপঘাতে নয়, ঘুমের মধ্যে ঘুম,
চিরতরে। জ্যৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে ঘর্মাক্ত
রক্তাক্ত দেহ খোঁজে কিসের যেন পুনর্বাসন।
আসন বিছিয়ে খেলা চলে দেহে অন্তবিহীন।
ওপারের ডাক আসে, শিরীষগাছের ডালে
এক রাতচরা পাখি মৃত্যুর গান গেয়ে যায়
আয়-আয় কে যাবি চল, কত স্বপ্নের বেড়াজালে
জালবন্দি হবি? এই অন্ধকার—চিরসখা আশ্রয়।
দরজার ওপারে মৃত্যুর ফেরেস্তা দাঁড়িয়ে
ঘরের মধ্যে ঘর, তার ভেতরে দেহের উত্তাপ
তাপের আগুনে জর্জরিত ধর্ষিত আত্মা
প্রলয়ের আগে নির্লজ্জ্ব ছেদহীন স্বমেহনে রত
উদ্যত জলকামান ভিজিয়ে দিচ্ছে অবরোধী রাত।
ঘরের ভেতর ঘর, ঘুমের মধ্যে গভীরতম ঘুম
দরজায় লাগানো মৃত্যুর অমোঘ পরোয়ানা
ভোরের আলোয় দেখা যাবে দরজা ঠেলে
পড়ে আছে উপুড় হয়ে একটা জ্যান্ত লাশ।
Comments
Post a Comment