ভাঙা সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে সময়
ধাপে লেগে রক্তাক্ত পায়ের ছাপ
ঘড়ির কাঁটা চাপা পড়ে যায় বালির নীচে
চোখের পর্দায় আটকে অসংখ্য তারার লাশ
প্রতিটি নিঃশ্বাসে জমে ওঠে মরীচিকার তৃষ্ণা
দেহ এখন
খালি এন্ডগেম রঙ্গমঞ্চে দোলায়মান পুতুল
অজানা উৎসবের রাতে সুতো ছিঁড়ে গেছে
কণ্ঠস্বরগুলো ফিরে আসে দেয়াল থেকে,
শূন্যতার গুহার গায়ে আঁকা আদিম চিত্র
অপেক্ষা করি এস্ট্রাগন আর ভ্লাদিমির মতো
কে তুমি?
অনস্তিত্বের টাইমক্যাপসুলে প্রশ্ন ভরা আছে
শব্দের ভাঁজে লুকিয়ে রয়েছে বিষণ্ণ চোখ, আর
অনুচিকীর্ষু অনিদ্রা অননুকরণীয় বিতৃষ্ণা
আর স্বভাবের কয়েক ফোঁটা জল
দরজা খুলে দিয়েছি
শব্দেরা পালিয়েছে অক্ষরের কারাগার থেকে
নক্ষত্রের সীমানা পেরিয়ে তারা হেঁটে গ্যাছে
যেখানে চাঁদ নামে না, আলো ভাঙে না
অবিন্যস্ত মহাকাশের গর্ভে
ঘূর্ণিঝড় তোলে অস্তিত্বের অসমাপ্ত সমীকরণ
ছায়া পড়ে দেওয়ালে
নিঃশব্দে জমতে থাকে জানালার কাচে শিশির
প্রতিটি বিন্দু যেন পৃথিবীর আয়না
মাটির নিচে শুনি শিকড়ের গান
শুধু অপেক্ষার শুধু আক্ষেপের গন্ধ ভাসে বাতাসে
মিশে যায় ভোরের দুধসাদা কুয়াশায়
জেগে থাকা এই দেহমিনারে অনন্তকাল ধরে বাজে
অসমাপ্ত সিম্ফনির সাইলেন্সার
Comments
Post a Comment