পিয়াংকী

ম্যাটফিনিশ লিপস্টিক আর ব্যাঙছাতায় নীলাভ মেঘ। কুচিয়ে কেটেছি সব। রাত বাড়লেই ঘন করি ল্যাশলাইনের কাজল। গরমজলে গুলে নিই কোয়ার্টার-কাপ কর্নস্টার্চ। চোখবন্ধ পৃথিবীতে গোল-গোল পাক খায় যত আরশোলা; তাদের ছেড়ে দিয়ে আসি মস্তিষ্কের ডানপাশে। তবু ভুল হয়। যা-যা করবো ভেবে কলম উলঙ্গ করলাম, সে-সবের পাশে বসলো এক মাকড়সা। আমি নির্লজ্জ নই, নির্লোভ-ও না। এই মাকড়সা আমার মিত্র কিনা, বোঝার আগেই সে গতিবেগ গন্তব্য সবই বদলে দিল নিমেষে। পাঁজর থেকে টেনে আনলো অশুদ্ধ বায়ু, তারপর বেলুনে ভরে ভাসিয়ে দিল সাদা আকাশের দিকে। নিচে থিতিয়ে গেল আমার অংশগ্রহণ বর্জন আর অতিবেগুনি রশ্মি। 

সাবানফেনায় স্নান সেরে উঠে হাতঘড়ি খুলে রাখলাম সেন্টার টেবিলের ওপর। ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দিলাম গতকালের দিকে। কানের দুলের ফুটোয় তোমার কামড় দেওয়া পেঁয়াজ। চুষে রেখেছিলে যে লজেন্স সুগার-সহ রাখলাম দুই ঠোঁটের মাঝখানে। এখন পর্যন্ত এতটা। রাতের মধ্য পর্যন্ত এসেছি। এবার রাত বাড়বে। দিনের দিকে। রমণী এখন রাস্তায়। আমি গয়নার বাক্সে রাখা টিকলির লাস্ট পয়েন্টে পাটের দড়ি বেঁধে ডুবিয়ে দিচ্ছি পানাপুকুরে। মাছ উঠলে সর্ষে বেটে দেবো লঙ্কার সাথে, অষ্টাদশী শিসোবে ঝাঁঝে, ঠিক যেমন জোঁকের মুখে নুন দেয় নাচঘরের দিদিমণি। ধাতুর ব্যবহার শিখবো বলে ইতিহাসের যে-অধ্যায় খুলে রেখেছি বিছানার ওপর, এখনও সেখানে চাঁদের আলো আসেনি। আসুক, ধীরে। আমার সেই অর্থে কোনো তাড়াহুড়ো নেই। ততক্ষণ বরং গয়নাগাটি পরি। টিয়ারা নথ ব্রোচ কর্ণফুল কিঙ্কিণী ইত্যাদি-ইত্যাদি... 

...এত সবের পর নিশ্চিত ঘুম আসা উচিত।

Comments